দি কনসার্ট ফর বাংলাদেশ =================== আমরা স্বাধীনতার জন্য লড়ছি আর সেই সব ভিনদেশী মানুষ গুলো আমাদের জন্য চেষ্টা করছে তাও আবার যে দেশটি চায় না স্বাধীন হোক এই দেশটা,সেই মাটিতেই! যে সময় জেনেছি এই ব্যাপারটি তখন থেকেই আমার এই মনের ভেতর যেন আজীবনের জন্য গেথে গিয়েছে কিছু নাম। সবসময়ের শ্রদ্ধা আর ভালবাসা থাকবে এই সব গুনী মানুষদের জন্য,যাদের প্রান কেদেছিল এই আমার মাটি আর মানুষের জন্য ১৯৭১ এর স্বাধীনতা সংগ্রামকালীন সময়ে। প্রায় চল্লিশ হাজার দর্শক এর সামনে নিউইয়র্ক এর সেই বিখ্যাত মেডিসন স্কয়ার গার্ডেনের মায়াভরা জায়গাটায় সবাই যেন এক হয়ে গিয়েছিল আমাদের এই বাংলাদেশ নামক একটি ছোট্র দেশের বিপদের সময়টায়। কেন জানি বিশ্বাস হয় সেই সময়ের কনসার্টে যারাই দর্শক হিসেবে অংশ নিয়েছিল তারা সবাই ই আমাদের দেশের শুভ কামনার জন্যই জড়ো হয়েছিল। এ স্মৃতি কি কখনো মুছে ফেলা যায়! এ যে কখনো হারাবারও নয়! ৭১এর সেই বিপর্যয়ের সময়ে ফান্ড সংগ্রহ করার জন্য কনসার্ট। আর এর জন্য একা জর্জ হ্যারিসনই তার প্রিয় ব্যান্ডের প্লাটফর্ম এ না গেয়ে প্রতিবাদি হয়ে বাংলাদেশের অসহায় মানুষের পাশে এসে দাড়ান সংগীতের মাধ্যমে। সময়টা ছিল আগষ্ট এর ১ তারিখ,১৯৭১ সাল। প্রথম শুরু করেছিলেন পন্ডিত রবি শঙ্কর এর সেতার সাথে ওস্তাদ আলী আকবর খানের সরোদ দিয়ে সে ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নেয়া কনসার্ট – দি কনসার্ট ফর বাংলাদেশ। আর তো ছিলেন’ই সে কালজয়ী তবলা বাদক ওস্তাদ আল্লারাখা এবং তাম্বুরায় কমলা চক্রবর্তী। পরে একে একে সবাই পারফর্ম করেন স্টেজে।সেই কনসার্ট থেকে অর্জিত সব অর্থ পরে ইউনিসেফের সহায়তায় বাংলাদেশের যুদ্ধ ক্ষতিগ্রস্থ শিশুদের সহায়তার কাজে ব্যয় করা হয়। আপনাদের সবার সাথে শেয়ার করতে ইচ্ছে হলো এই অসাধারন একটি জ্বলন্ত ইতিহাসের স্বাক্ষী হয়ে থাকা এই ডকুমেন্টসটি।
Thursday, July 21, 2011
দি কনসার্ট ফর বাংলাদেশ 1971
১৯৭৫ সালের ১৫ই অগাস্ট গুটিকয়েক বন্দুকধারী বিপথগামী কুজন্মা কুলাঙ্গার এই বিশ্বকাপানো বিশ্বনেতাকে রাতের অন্ধকারে কাপুরুষের মত স্বপরিবারে হত্যার মাধ্যমে স্বাধীনতার লাল সবুজের পতাকায় আবার চন্দ্রবিন্দু (চাঁদ তারা) বসানোর হীন চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছিলো। ওরা এখনো গোটা দেশের অভ্যন্তরে গ্রামে গঞ্জে আস্তানা গেড়ে আছে ধর্মের নামে, ইসলামের নামে, ধর্মীয় শিক্ষার নামে এবং ওদেরকে যারা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে আর্থিক সহায়তাসহ সার্বিক পরিচালনা করছে, তাদের কেউ না কেউ, কোনো না কোনোভাবে আওয়ামী লীগের ভিতরেও প্রবেশ করতে পেরেছে।
জাতিরজনকের স্বপ্ন ও আদর্শ বাস্তবায়ণের ক্ষেত্রে ঠিক বঙ্গবন্ধুর মতো একই উদার নীতির বিপক্ষে কিছু কথা বলার জন্যই এ লেখা শুরু করেছি। হয়তো বুঝিনা, অথবা না বুঝেই পোদ্দারপট্টির অথর্ব প্রফুল্ল পোদ্দারের মতো দোকানে কোনো কাষ্টমার না থাকলে যেমন বিড় বিড় করত, ঠিক তেমনি কিছুক্ষণ বিড় বিড় করে ঘুমিয়ে পরবো । আমরা হচ্ছি ছাগলের তিন নম্বর। বাচ্ছা শব্দটি আর লিখলাম না। কারণ নেতানেত্রীগণ আমাদের যতোই বাচ্ছা বলে এড়িয়ে যাকনা কেনো আমরা আর বাচ্ছা নই, শুধু তাই নয়, আমাদের বাচ্ছারাও এখন মূখ ফুটে তাদের মনের কথা বলতে শিখেছে। আমাদের আগামী প্রজন্ম আমাদের পূর্বসূরিদের চেয়ে অনেক সতর্ক ও স্বচেতন মেধার অধিকারী ।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment